সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণ যাকে ভালবাসবে, দায়িত্ব দিতে চাইবে, তাকেই দেবে- জেলা প্রশাসক বাহুবলে বিয়ের আনন্দ-ফুর্তি চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবতীর মুত্যু বাহুবল উপজেলা নির্বাচন : ২০ প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

শতবর্ষী বৃদ্ধের আক্ষেপ “আর কত বয়স হলে কপালে জুটবে বয়স্ক ভাতার কার্ড”

মোঃ জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে : বয়সের ভারে ন্যুজ আব্দুর ছোবহান। বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে-শোকে র্দীঘদিন ধরে ভূগছেন তিনি। বয়স হয়েছে ১ শ বছর। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জুটানোও তাঁর জন্য কষ্টকর। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরণা দিচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। আশ্বাস মিললেও এখনো জুটেনি কোন কার্ড।

আব্দুল ছোবান বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম তারিখ ১০ ফেবব্রুয়ারী ১৯৩০ ইংরেজী। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ আর নারীর ক্ষেত্রে ৬২ বছর। সে অনুযায়ী ছোবহান বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও এত দিনেও কেউ তার সহযোগীতায় এগিয়ে আসেনি।

এলাকাবাসী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ছোবানের সহায়-সম্পদ বলতে একখন্ড ভিটা-বাড়ি ছাড়া তাঁর তেমন কিছু নেই। সংসার জীবনে দুই ছেলে তিন মেয়ে । ছেলেরা খেতমজুর ও শ্রমজীবি। কোন রকমে তাদের সংসার চলে। তার ছোট ছেলে জমির আলী বলেন, আইয়ূব আলী মাস্টার চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ৫ বছর পেছনে পেছনে ধর্না দিয়েছি শুধু আশ্বাস পেয়েছি কাজ হয়নি। বাবার বয়স হয়ে যাওয়ায় প্রায় সব সময় অসুস্থ থাকেন। বয়স্ক ভাতার কার্ড হলে খুব উপকার হত।

আব্দুল ছোবান বলেন, কত জনরে ভোট দিলাম, আর কত চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে গেলাম কেও একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড দিলো না। তারা বলে কার্ড আর নাই। সামনের বছর দেখা যাবে। বয়স ১ শ বছর হলেও আমার ভাগ্যে এখনো জুটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। আর বয়স কত হলে আমারে কার্ড দিবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জীবনের শেষ সময়ে তিনি জনপ্রতিনিধিদের কাছে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাই তার শেষ বড়সা। এ ব্যাপারে বর্তমান মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন বলেন, ১ শ বছরের এক   পুরুষের বয়স্ক কার্ড হয়নি আমার জানা ছিল না। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি আমার কাছে আসেনি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com